শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

বেনাপোলে অনিদৃষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে পাসপোর্ট যাত্রীরা 

যশোর প্রতিনিধি

বেনাপোলে অনিদৃষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে পাসপোর্ট যাত্রীরা 

বেনাপোলে অনিদৃষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার পরিবহণ ধর্মঘটের সোমবার (২৫ নভেম্বর) ছিলো ৩য় দিন। ফলে ভারত গমনাগমন পাসপোর্ট যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বেনাপোল পৌরসভা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে দিবা ও নৈশ পরিবহনগুলো ২ কি.মি. দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। 

গত শনিবার থেকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো অনিদৃষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। সরকার পাসপোর্ট  যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশাল পরিবহন টার্মিনাল নির্মাণ করে। ফলে যাত্রীরা দ্রুত সময়ে পায়ে হেঁটে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ভারতে যাতায়াত করতো। হঠাৎ পৌরসভার এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে পাসপোর্ট যাত্রীসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।

পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বেনাপোলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে নারী শিশু, বৃদ্ধ, রোগীরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। অনেকে বেনাপোল থেকে ইজিবাইক ও লোকাল বাসে করে যশোর যাচ্ছে। সেখান থেকে ট্রেনে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। 

অনেক পাসপোর্ট যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতীয় চেকপোস্টে  পেট্রাপোলে যাত্রীদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশনের সঙ্গেই নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রী পরিবহন টার্মিনাল। বাংলাদেশে বর্ডারে চালু টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়ে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টার্মিনালে পাঠানো হচ্ছে যাত্রীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পাসপোর্ট  যাত্রীদের। 

এ ব্যাপারে পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু জানান, কয়েকদিন আগে যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের এবং স্থানীয় সুধী সমাজের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যানজটের কথা বলে সব পরিবহন বাসগুলো চেকপোস্টের টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নিয়ে বেনাপোল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে কাগজপুকুর টার্মিনাল নিয়ে যায় এবং গাড়ি সেখান থেকেই ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টে নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে কাগজপুকুর চলে যাচ্ছিল।

 হঠাৎ গত শুক্রবার রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার  পরিবহন বাসগুলো আসার পর যাত্রীদের জোরপূর্বক টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হয়। পরে সেই যাত্রীগুলো লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালে থাকা পৌরসভার লোকজন ।

প্রশাসনের এ ধরনের আচরণের প্রতিবাদে পরিবহন মালিক সমিতি ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে কোন গাড়ি ছাড়িনি এবং বেনাপোল থেকে সব ধরনের পরিবহন বাস এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক কাজী নাজিব হাসান বলেন, রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে সব দূরপাল্লার পরিবহন বেনাপোল চেকপোস্টে যেতে পারবে। বন্দরে যানজট নিরসনের জন্যই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বন্দরের যে পরিবহন টার্মিনাল বর্তমানে খালি অবস্থায় পড়ে আছে। কেন টার্মিনাল খালি পড়ে আছে এটা তাদের বিষয়, এটা আমাদের বিষয় নয়। 

টিএইচ